লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল। দেশটির জেন-জি তরুণরা প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার জন্য স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নামে। সরকার পতনের আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না, জানায় পেরুর ‘জেন জি’ রা।
শনিবার (২০শে সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে শত শত সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরাও পাথর ও লাঠি নিক্ষেপ করে। ফলে ডজনখানেক পুলিশ কর্মকর্তা, প্রতিবাদকারী ও সাংবাদিক আহত হন।
শহরের কেন্দ্রে প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারী ভারী পুলিশি উপস্থিতির মধ্যেই জড়ো হন। তারা লিমার নির্বাহী ও কংগ্রেস ভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ছোড়া ছররা গুলিতে তাদের একজন প্রতিবেদক এবং একজন ক্যামেরাম্যান আহত হয়েছেন। এছাড়া, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের অন্তত তিনজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এই বিক্ষোভ শুরু হয় ২০ সেপ্টেম্বর। যখন দেশটির পেনশন ব্যবস্থায় এমন একটি সংস্কার আনা হয়। যেখানে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব পেরুবাসীর জন্য কোনো একটি পেনশন প্রদানকারীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে এই বিক্ষোভের পেছনে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে ও কংগ্রেসের প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষোভও বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৫৪ বছর বয়সী গ্ল্যাডিস নামের এক নারী বলেন, ‘আগের চেয়ে এখন গণতন্ত্র কম। ভয় এবং চাঁদাবাজির কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’ আরেক বিক্ষোভকারী সেলিন আমাসিফুয়েন বলেন, ‘কংগ্রেসের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, জনগণের অনুমোদনও তাদের নেই তারা এই দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিক্ষোভ ভবিষ্যতে আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে, যদি সরকার জনগণের উদ্বেগগুলো আমলে না নেয়।